ভারতের একটি মুখ্য কারণ হয়ে উঠেছে ধর্মান্তরণ। এমন তো শোনা যায় হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছে বিয়ে করে। কিন্তু মুসলিম থেকে হিন্দু হতে গেলেই কট্টরবাদী হাতে মরতে হয়েছে হিন্দু যুবক কে। তাই ধর্মান্তরণ বিড়ালে কত চলছে অনেকদিন ধরেই। আর তারই সমর্থন করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিয়ের জন্য ধরনের বিষয়টিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ যতই উত্তরপ্রদেশ সরকারের দমন আইন নিয়ে কড়া সমালোচনা হোক, বিজেপি এই নেতার যুক্তিতে সমর্থনের সুস্পষ্ট। এই আইনের বিরোধিতা করে দেশের ১০৪ অবসরপ্রাপ্ত আমলা রীতিমতো করার চিঠি দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ কে। তাতে যদি ও উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি যোগী বা তার সরকারের তরফে।




ধর্মান্তরণ আইনের সমর্থনে রাজনাথ বলেন, 'আমার প্রশ্ন, কেন ধর্মান্তরের মতো বিষয় থাকবে? গণহারে ধর্মান্তরণ অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। আমি যতদূর জানি, ইসলামে একজন হিন্দু ধর্মে বিয়ে করতে পারেন না। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিয়ের জন্য ধর্মান্তরের বিরোধী।যোগী সরকারের লাভ জিহাদ আইনের অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লখনৌয়ের সংসদ বলেন,'স্বাভাবিক বিয়ে এবং বিয়ের জন্য জোর করে ধর্মান্তরণ এর মধ্য বিপুল পার্থক্য রয়েছেে। বহু ক্ষেত্রেই জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার নজির রয়েছে। আমার বিশ্বাস, যেসব সরকার এই আইন কার্যকর করেছে, তারা সব দিক খতিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।'রাজনাথ বাবু আরোও বলেন, 'একজন যথার্থ হিন্দু কখনোই ধর্ম,  জাত বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বিভাজন করেন না। আমাদের ধর্ম গ্রন্থগুলি এই বিভাজনের শিক্ষা দেয় না।  


অবশ্য যোগেশ্বর করে আনা আইনের বিরোধিতা অব্যাহত। শতাধিক IAS অফিসার ছ'পাতার চিঠিতে যা লিখেছেন, প্রতিযোগী সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ রয়েছে। যোগী কে লেখা ১০৪ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা অভিযোগ করেন, যোগী সরকারের শাসনকালে উত্তর প্রদেশ ঘৃণা, বিভাজন এবং ধর্মান্ধতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চিঠিতে মুরাদাবাদ এর ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তার মুসলিম স্বামী ও দেওয়ার কে পুলিশ গ্রেফতার করে। টানা-পড়েনে তরুনীর গর্ভপাত পর্যন্ত হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই তরুণী বারবার দাবি করেছিলেন তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন।কিন্তু বজরং দলের লোকেরা তাতে কান দেয়নি।মত সংগঠন এই আইন কার্যকর এ এমন ভূমিকা নেবে, সে প্রশ্নও তুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত আমলারা। মোরাদাবাদের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব নিরুপমা রাওএবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একসময়ের উপদেষ্টা টিকেও নায়ারের মত এক সময় জাদরেল IAS দের প্রশ্ন, 'এই ঘটনা কি একটি শিশুকে জন্মের আগেই খুন করে ফেলার শামিল নয়? আপনার পুলিশ বাহিনী পুরো ঘটনায় নীরব দর্শক থেকে এই হত্যাকাণ্ডে মদত যোগাইনি?'


চিঠিতে রয়েছে বিজনৌরের এর ঘটনার উল্লেখও। এক মুসলিম তরুণকে 'লাভ জিহাদ'আইনে বন্দী করার পরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, জোরকরে ধর্মান্তর হয়নি। আইপিএস এর বক্তব্য,'নিরপরাধ মানুষকে কিছু লোক হেনস্থা করে চলেছে। সবথেকে ও পুলিশ চুপ। এর পক্ষে কোন যুক্তি খাটে না। একজন মহিলা তার সন্তান হারালেন। কিন্তু নিসংসতা! যা কমার কোন লক্ষণ নেই।ধর্মান্তরণ অর্ডিন্যান্স কি করে ভারতীয় মুসলিম এবং স্বাধীনচেতা নারীদের পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।'



রীতিমতো কদর শব্দের চিঠিতে বলা হয়েছে, 'সংবিধানে হাত রেখে আপনারা শপথ করেছিলেন।মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ সব রাজনীতিকদের।'যুব সমাজের উপরে এই আইন অত্যাচার বলে গণ্য করছেন আমলারা। আমাদের দেশ স্বাধীন। হিসেবে যারা বেঁচে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছে, আপনারা সেই মুক্তমনা যুব সমাজের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন।






কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন